বাজরিগার পাখির গ্রিট | ককাটেল, লাভবার্ড, কনুর পাখির গ্রিট তৈরির রেসিপি
আগে আমরা একটি পোস্ট-এ জেনেছিলাম, গ্রীট কি? কত প্রকার ও কি কি? কেন পাখিকে ডিট দিতে হয়। আজকে আমরা প্যারাকিট প্রজাতির পাখির জন্য গ্রিট তৈরি করা দেখাব।
উপাদান প্রস্তুত প্রণালীঃ
১) ক্যাটল ফিস বোন (৩৫০ গ্রাম) : পাখির খাবার বিক্রি করে এমন যেকোনো দোকানে পাওয়া যাবে। এটিকে ভালভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে।
২) মুরগি বা হাঁসের ডিমের খোসা (৩৫০ গ্রাম) : লবন-পানিতে সিদ্ধ করে তারপর ভালমত শুকিয়ে নিতে হবে। কারন ডিমের খোসাতে হাঁস মুরগির মল বা ময়লা লেগে থাকে। এরপর ভালভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে।
৩) লাইম স্টোন (৩৫০ গ্রাম) : নিমতলীতে পাওয়া যাবে। এটি সাধারণত গুঁড়াই থাকে। তারপরও আরও একটু গুঁড়া করে নিতে হবে।
৪) ঝিনুক গুঁড়া (২৫০ গ্রাম) : এটিও নিমতলীতে পাওয়া যাবে। এটি ভাঙ্গা থাকে কিন্তু পাউডার করা না। তাই এটিকে ভালভাবে গুঁড়া করে নিতে হবে। এটি সহজে গুঁড়া হয় না। তাই এটিকে অনেকক্ষণ ধরে গুঁড়া করতে হবে।
৫) সজনে পাতা গুঁড়া (১০০ গ্রাম) : ঢাকাসহ সারা দেশেই অনেক সজনে গাছ রয়েছে যেখান থেকে খুব সহজেই সজনে পাতা সংগ্রহ করা যাবে। আবার বাজারে কিনতেও পাওয়া যায়। সজনে পাতা ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ভালভাবে শুকাতে হবে, কিন্তু রোদে শুকানো যাবে না। কারন পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। সজনে পাতা শুকালে ঝরঝরে হয়ে যায়। এরপর সহজেই গুঁড়া করে নেওয়া যাবে।
৬) কাঠ কয়লা (৫০ গ্রাম) : সামান্য পরিমানে কাঠ কয়লাও গুঁড়া করে নিতে হবে। কাঠ কয়লা কাপ্তান বাজার, নিমতলীসহ বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়
৭) নীমপাতা গুঁড়া (৫০ গ্রাম): নীমপাতা ভালো করে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। এর পর শুকনো পাতাগুলোকে খুব সহজেই গুড়া করা যাবে। রোদে দিয়ে শুকালে এর গুনগত মান নষ্ট হয়ে যাবে।
৮) অন্যান্য: যদি হাতের কাছে অল্প পরিমান আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন গাছের ছাল, যষ্ঠিমধু থাকে; তাহলে সেগুলো গুড়া করে নিতে হবে। তবে খুব কম পরিমান। (৫ গ্রাম থেকে ১০ গ্রাম প্রতিটি)।
কিভাবে গুঁড়া করবেন? গুঁড়া করার জন্য ব্লেন্ডার, মিক্সার গ্রাইন্ডার, শীল পাটা, হামন দিস্তা যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যেটাই ব্যবহার করেন না কেন ভালমত পরিষ্কার করে তারপর গুঁড়া করবেন।
প্রস্তুত প্রনালীঃ
সকল উপাদানগুলোর গুঁড়া চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। না’হলে বড় দানা থাকবে, বিশেষ করে ঝিনুক গুঁড়া। আর দানা থাকলে সেটি গলায় আটকে যাবার সম্ভবনা থাকবে। চালার পর যে বড় দানা থাকবে সেই গুলো চাইলে আবার গুঁড়া করে নিতে পারেন অথবা ফেলে দিতে পারেন। কোন ভাবেই বড় দানা দিবেন না। কারন, এই পাখিগুলোর খাদ্য নালী অনেক চিকন। গলায় আটকে মারা যাবে।
এটি আপনার বাজিকে সারা বছর খেতে দিন, বিশেষ করে ব্রিডিংয়ের সময়। এতে আপনার বাজি বিভিন্ন খনিজ ও মিনারেল পাবে যা তার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।
এছাড়াও পড়তে পারেনঃ
গ্রিট কি এবং কেন? কোন পাখিকে কি গ্রিট দিতে হয়?
পাখির গ্রীন পুপস বা সবুজ পায়খানা
ককাটেল ও লাভবার্ড পাখির সিডমিক্স পদ্ধতি – দেশি শষ্যদানা
বাড়িতেই বানিয়ে নিন পাখির প্রিয় খাবা সফটফুড
পাখির জন্য বাড়িতে বানানো বিশেষ ঔষধ (পর্ব-১)