পাখির শীতকালীন যত্ন
শীতের সময়ে পাখির জন্য অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয়। আসুন জেনে নেই নওশীন মুন আপু কিভাব পাখির যত্ন নেন!
১। শীতের রাতে পানির বাটি বের করে রাখি আর সকালে কুসুম গরম পানি খেতে দেই ।বিকেলের পর চেঞ্জ করে আবার কুসুম গরম পানি খেতে দেই ।কারণ সকালে আর সন্ধ্যের সময় ঠাণ্ডা বেশী লাগে ।
২। সিডমিক্স এর সাথে গুজি তিল ,তিসি ,সূর্যমুখী ,সরিষা দানা,কেনারি ,হেম্পসীড যোগ করি ।
৩। বিকেলের পর যেদিক দিয়ে বাতাস আসে দরজা জানালা লাগিয়ে দেই কারণ আমি ওদের রুমে রাখি ।
৪। যাঁরা বারান্দায়ে রাখেন তাঁরা যেদিক দিয়ে বাতাস আসে সেদিকটা ছালা বা মোটা কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখুন ।কিন্তু এসব ঢাকা অবশ্যই দিনে খুলে দিতে হবে নইলে বাতাসের অক্সিজেন এর অভাব হবে ।
৫। সপ্তাহে দুই দিন অবশ্যই সকাল ১০/১১ টার দিকে গোসল দিবেন ।
৬। সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন রোদ এ দিতে হবে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নইলে কাক বিড়াল আক্রমণ করতে পারে ।
৭। শীতে আমি আমার ১০০ বাচ্চার এগ ফুডে চারটা কডলিভ কেপ্সূল খুলে ভিতরের লিকুইড মিশিয়ে খেতে দেই ।সেক্ষেত্রে এক জোড়ার জন্য
দুই ফোঁটা যথেষ্ট ।
৮। এগ ফুড একদিন পরপর দেই ।
৯। সপ্তাহে দুই দিন আপল সাইডার ভিনেগার এক লিটার পানিতে ২.৫ এম এল মিশিয়ে খেতে দেই ।
১০। ওদের রুমে এনার্জি বাল্ব যেটা গরমে ছিল সেটা চেঞ্জ করে নরমাল ২০০ওয়াট এর বাল্ব দেই ।
১১। রাতে বিশেষ ব্যবস্থায়ে ১০০ ওয়াট এর একটা বাল্ব ঢেকে জ্বালিয়ে রাখি যাতে ওদের ঘুমের অসুবিধা না হয় ।
১২। পানিতে ভিটামিন সি যেমন্ লেবুর রস ,জাম্বুরার রস ,কমলার রস দেই সপ্তাহে তিনদিন ।কারণ ভিটামিন সি সর্দি কাশি জ্বর নিয়ন্ত্রণ করে ।
১৩। ভিটামিন এ যুক্ত খাবার যেমন্ মিষ্টিকুমড়া বেশী দেই ।কারণ ভিটামিন এ শ্বাস নালীর রোগ গুলো নিয়ন্ত্রণ করে ।
১৪। Calplex আর hiprachok amino এই দুইটা মেডিসিন ব্যবহার করি প্রতি পনের দিন পর পর পাঁচ দিন ।
১৫। দিনের বেলায় ঘরে রোদ ,আলো ,বাতাস প্রবেশ করতে দেই ।
১৬। মাঝে মাঝে তুলসী পাতা ,আদা ,রসুন এর রস মধু দিয়ে মিশিয়ে খেতে দেই ।
১৭। খাঁচা পরিষ্কার রাখি আর সপ্তাহে একদিন ট্রে ধুয়ে মুছে আবার দেই যাতে ভিজা ট্রে এর পানি ওদের গায়ে না পরে ।
আজ এটুকুই পরে কিছু নতুন এড করতে চাইলে আবার পোস্ট দিব । সবার পাখি ভাল থাকুক । এই আশায় ।ধন্যবাদ ।
লিখেছেন, নওশীন মুন।
ফেসবুক গ্রুপ: Bangladesh Birds Help Group

No Comments