পাখির জন্য বাড়িতে বানানো বিশেষ ঔষধ (পর্ব-২) (কৃমির ঔষধ)
পশু পাখি ভাল মনের মানুষের কাছে ভালো থাকে। কারো গীবত কারীকে মহান আল্লাহ ঘৃনা করেন।
আজ বলব কৃমির ঔষধ সম্পর্কে ।
কারো ইচ্ছা হলে খাওয়াতে পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন এটা একটা বিষ। কখনো কখনো কৃমির ঔষধের বিষক্রিয়ায় পাখী মারা যায় কারন এটা খেতে হবে ফিট শরীরে, ঠান্ডা আবহাওয়ায়, সঠিক পরিমানে ।যদি পাখী একটুও অসুস্থ থাকে তো মুস্কিল। তাছাড়া কৃমি আছে কি না পেটে না জেনে বিষ খাইয়ে কি লাভ?? কৃমির ঔষধ পেটে থাকা সকল অন্ত পরজীবী মেরে ফেলে। এতে উপকারি কিছু পরজীবী ও মারা যায়। অনেক সময় এর ফলে কিছু পাখী মারা যায়। আবার পাখী অসুস্থ হলে রোগ লুকায়। অনেক সময় দেখতে ফিট লাগবে কিন্তু অসুস্থ। যেই অন্তজীব গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কৃমির ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে ওগুলোও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
আমি আমার পাখীগুলোকে কৃমি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এক লিটার পানিতে দশটা নিম পাতা অল্প আঁচে ঢেকে সিদ্ধ করে ঠান্ডা হলে সকালে খালি পেটে খেতে দেই মাসে তিনদিন। এছাড়া খাচায় নিম পাতা সহ ডাল দিয়ে রাখি। আর খাবার, পানি, শাক সবজি যাই দেই ভাল ভাবে ধুয়ে দেই। খাচা পরিষ্কার রাখি, ট্রে আর নীচের পার্ট একদম জীবানুমুক্ত রাখি।
নিম পাতা কৃমি নিয়ন্ত্রণ করে, বংশ বিস্তারে বাধা দেয় অথচ উপকারি অন্তজীবী দের আরো শক্তি শালি করে। কৃমি ছাড়াও আরো বহু রোগ জীবাণু নিম পাতায় ধ্বংস হয়।
আমার প্রথম ব্রিডের ককাটেল টুম্পার আমাশয় হয়েছিল আমি বুঝি নাই বহু আগের কথা। কৃমির ঔষধ দেয়ার পর রোগ বেড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিল।
এছাড়া কৃমির ঔষধের আগে পরে আরো অনেক ঔষধ দিতে হয়। অকারনে ঔষধ থেকে দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। ঔষধ পাখীর হায়াত কমিয়ে দেয়। যাক এই সকল ঔষধ ছাড়া আমার পাখীরা ভাল আছে। তাদের স্বাস্থ্য ঈর্ষনীয়।
কৃমি আশেপাশে ও আসে নাই।
অবশ্যই দেশী নিমগাছ হতে হবে।
লিখেছেনঃ নওশীন মুন
আরও পড়তে পারেনঃ পাখির জন্য বাড়িতে বানানো বিশেষ ঔষধ (পর্ব-১)
No Comments